বাঁদনা পরব ও খুটান উৎসব এ মাতোয়ারা জঙ্গলমহল এর মানুষ

17th November 2020 4:39 pm বাঁকুড়া
বাঁদনা পরব ও খুটান উৎসব এ মাতোয়ারা জঙ্গলমহল এর মানুষ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বাঁদনা পরব ও খুটান উৎসবে মেতেছে জঙ্গল মহল। কালি পূজোর পরের দিন 'বাঁদনা পরব'। এই দিন রাঢ় বঙ্গের মানুষ গরু ও গাভীকে বা মহিষকে স্নান করিয়ে তার গায়ে বিভিন্ন রং দিয়ে ছাপ বা আলপনা দিয়ে থাকেন এবং রাত্রে তাদের পুজো করা হয়, যা স্থানীয় ভাবে গরুর বিয়ে নামে পরিচিত। এরপর সারারাত ধামসা মাদল নিয়ে বাজনা বাজিয়ে এলাকায় চলে রাত জাগান। এরপরের দিন স্থানীয় বাসিন্দারা বলদ বা মহিষকে একটি খুঁটিতে বেঁধে ধামসা মাদল ও বিভিন্ন জন্তুর চামড়া নিয়ে সমবেত ভাবে ভয় দেখান ও বিভিন্ন লোকগান করতে থাকেন। যা দেখে ভয়ে সেই সেই চামড়াকে আক্রমণ করতে থাকে। যাকে বলা হয় খুঁটান উৎসব। অনেকে মনে করেন এই খুঁটান উৎসব পিছনে রয়েছে এক বিজ্ঞান ভিত্তিক কারণ। সারা বছর কৃষি কাজে গবাদি পশু ব্যবহার হয়। বর্ষায় ধান লাগানোর পর আর সেভাবে কৃষি কাজে গবাদি পশুর কাজ থাকেনা। মাঝে বেশ কিছু দিন বিশ্রাম পায় তারা। কালি পূজোর সময় থেকে আবার নতুন করে ধান কাটা, মাঠ থেকে ধানতোলা, শীত কালিন সব্জী চাষ সহ বিভিন্ন কাজে আবার গবাদি পশুর ব্যবহার হয়। তাই দীর্ঘ বিশ্রামের পর তাদেরকে আবার নতুন করে কাজে নামানোর আগে এই ভাবেই জাগিয়ে নেওয়া হয় বলে অনেকে মনে করেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।